ঢাকা,বুধবার, ১ মে ২০২৪

পেকুয়ায় অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার, আটক-২

রিয়াজ উদ্দিন, পেকুয়া ::  পেকুয়ায় অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদ্রাসা ছাত্রের নাম আরফাত (০৮)। ১৯ অক্টোবর (শনিবার) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বদিকে মগঘোনা এলাকার মহিউদ্দিন মাঝির ধানক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে পেকুয়া থানা পুলিশ।

জানা যায়, ১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বারবাকিয়া কাদিমাকাটা এলাকার ওমান প্রবাসী রুহুল কাদের ছেলে ও ফাঁসিয়াখালী ফাজিল মাদ্রাসার নুরানী প্রথম বর্ষের ছাত্র মো: আরফাত নিজ বাড়ির মসজিদ সংলগ্ন খেলার মাঠে খেলা খেলছিল। এ সময় তার আপন খালাতো ভাই মগনামা দরদরিঘোনা এলাকার আবু তাহেরের পুত্র রায়হান (১৬) ও তার বন্ধু মগনামা মিয়াজিঘোনা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো: মানিক (১৮)সহ দু’জনেই ফুঁসলিয়ে ওই আরফাতকে মগনামায় নিয়ে যায়।

এরপর রায়হানসহ তার বন্ধু ওই অপহৃত ছাত্রকে অজ্ঞাত স্থানে রেখে আপন খালা রুজিনা বেগম থেকে মুঠোফোনে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এতে সাড়া না পেয়ে সন্ধ্যার দিকে ওই আরফাতকে ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বদিকে মগঘোনা ধানক্ষেতে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে আসে। ওই নিহতের মা রুজিনা বেগম ঘটনাটি পেকুয়া থানাকে অবহিত করলে থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে। পর দিন পেকুয়া থানা পুলিশ ঘাতক রায়হানকে নিজ বাড়ি থেকে ও তার বন্ধু মানিককে গোঁয়াখালী মাতবরপাড়া শাশুড় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। থানা পুলিশ জানায়, আটককৃত ২ জন প্রথমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে। যার কারনে পুলিশ কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। তাদের স্বীকারোক্তিমতে পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মগনামা ইউনিয়নের মগঘোনা মহিউদ্দিন মাঝির ধানক্ষেত থেকে রাত ৮ টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে পেকুয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানায়, ঘটনা জানার সাথে সাথে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রথমে আটককৃতরা সঠিক তথ্য না দেয়ায় কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘাতকরা সঠিক তথ্য প্রদান করায় লাশটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরো জানায়, এ বিষয়ে নিহতের মা রুজিনা বেগম বাদী হয়ে মুক্তিপণ ও অপহরণ মামলা রেকর্ড করা হয়। লাশ উদ্ধার হওয়ায় মামলাটি হত্যা মামলায় পরিনত হবে।

পাঠকের মতামত: